সৌদিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
প্রকাশিত : ০৮:৩২, ২৬ মার্চ ২০২২
সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল জেদ্দা। এই অনুষ্ঠানে কনসুলেটের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে কনসুলেট জেনারেল প্রাঙ্গণে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (শ্রম) কাজী এমদাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) কামরুজ্জামান ভূইয়া।
কাউন্সিলর আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় পরে ১৯৭৫ সালের ২৫ মার্চ নির্মম গণহত্যার দিবসের উপর সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলের রাজনৈতিক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
২৫ মার্চের কাল রাত্রিতে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
আলোচকরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ প্রদর্শন করা হয়।
এএইচ/
আরও পড়ুন